সাখাওয়াতের ব্লগ

“এ ভুল করো না, এ ফুল ছিঁড়ো না, তিলি তিলে গড়ে উঠুক এ উদ্যান।” গড়তে আমাকে হবেই। চোখকে কস্ট কি সাধে দিচ্ছি? আমার কমরেড আমিই। কেউ আমার কমরেড হতে পারে না। আমি জানি আমি পারবো। শুধু অপেক্ষায় আছি। তীরের কাছাকাছি। বেশী দুর নই !!

Read More

Steven Jobs (1955-2011)

Steve Jobs was an American businessman and inventor who played a key role in the success of Apple computers and the development of revolutionary new technology such as the iPod, iPad and MacBook.

Read More

Ernesto Guevara de la Serna (1928-1967)

Ernesto Che Guevara was an Argentine physician and revolutionary who played a key role in the Cuban Revolution. He also served in the government of Cuba after the communist takeover before leaving Cuba to try and stir up rebellions in Africa and South America. He was captured and executed by Bolivian security forces in 1967. Today, he is considered by many to be a symbol of rebellion and idealism, while others see him as a murderer.

Read More

Featured Post 4 Title

Replace these every slide sentences with your featured post descriptions.Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha - Premiumbloggertemplates.com.Download more free blogger templates from www.premiumbloggertemplates.com.

Read More

Featured Post 5 Title

Replace these every slide sentences with your featured post descriptions.Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha - Premiumbloggertemplates.com.Download more free blogger templates from www.premiumbloggertemplates.com.

Read More

Join The Community

Search

Saturday, December 27, 2014

কেন মার্কেটপ্লেসমার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ পাচ্ছেন না? (Part 1)


অনেক স্বপ্ন নিয়ে আপনি আউটসোর্সিং শব্দটার সাথে মিশতে চাইছেন কিন্তু হচ্ছে না কিছুই!!! 
একবার নিজের প্রোফাইলের দিকে থাকান। কিছু ভুল পাইছেন? কি বুঝলেন?
না বুঝলেন না। আমি বলছি- যে আপনাকে চিনে না, জানে না সে কি করে আপনাকে কাজ দেবে? হ্যা দিবে; তবে এক্ষেত্রে আপনার হাতে একটাই অস্ত্র আছে!! সেটি আপনার প্রোফাইল;
প্রোফাইল নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখার এইটি প্রথম পর্ব। 
আমি একটু গভীরের বিষয় নিয়ে শুরু করছি। টাইটেলও না পোর্টফলিও না;
আজকের বিষয় Skill Test. 
দক্ষতা প্রমাণের জন্য প্রত্যেক মার্কেটপ্লেসমার্কেটপ্লেসগুলোতে Skill Test_এর ব্যবস্থা রয়েছ। প্রোফাইলের প্রাথমিক পর্‍্যায়ে যদি আপনার Skill রিলেটড কিছু Test দেওয়া থাকে এবং score যদি ভালো থাকে তবে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। একটু পরিশ্রম করে Skill Test গুলো দিয়ে দিন। বায়ারকে দেখানোর মত আপনার ঝুলিতে থাকবে score। 
সারাংশ হলো প্রত্যেক মার্কেটপ্লেসমার্কেটপ্লেসগুলোতে ভালো অবস্থান করতে হলে Test score লাগবেই।
আমার এই লেখার কারণ হলো অনেকে inbox বা skype তে প্রোফাইল দেখার জন্য ID & Password পাঠায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা হয়ে উঠে না।
তাই চিন্তা করলাম প্রত্যেক পার্ট নিয়ে আলাদা করে লিখব; যাতে গণহারে জনতা পাইতে পারে। 
Skill Test গুরুত্ব বোঝাইলাম। 
কিভাবে দেবেন Skill Test? 
সেটা লিখবো আরেকদিন। 
আমি খুব সহজে আমার skype সবাইকে দিয়ে দিই। আজ তার ব্যতিক্রম নই। আমার skype ID: shaksign । 
SkillTest নিয়ে আরো জানতে চাইলে skype ID knock দিয়েন। তবে সময়জ্ঞান মাথায় রাখবেন।
ধন্যবাদ।

Boy falls in abandoned well : Body recovered after 23 hrs

The body of four-year old boy who fell into a 600-foot abandoned well at Shahjahanpur in the capital on Friday, was rescued on Saturday shortly after the Fire Service and Civil Defence authorities postponed the rescue operation.

 Local pump cleaners Farooque and Rahmat pulled the body out with a net and a rope at about 3pm and handed him over to the Fire Service authorities in unconscious state.

But, the authorities did not confirm him dead immediately.

Jihad was rushed to Dhaka Medical College Hospital soon after rescue where doctors declared him dead.

Fire Service DG Brig Ahmed Ali officially postponed the rescue operation at about 2:30pm saying that there was no existence of the minor boy in the well.

Jihad, son of Nasir Uddin of the railway colony, slipped into the deep well, abandoned by the WASA, at about 4pm on Friday while playing near the abandoned pump house.

Meanwhile, local people, angered by authorities' negligence in the child's rescue operation, started vandalising shops and establishments built on the Bangladesh Railway's land in Shahjahanpur area after the body recovery.

The mob vandalized the shops of Shahjahanpur kitchen market, a tin-shed house and attacked the Railway Super Market and demanded removal of head of the rescue team and other officials concerned..

Later, police took the situation under control.

Saturday, October 11, 2014

Email Marketing: কি এবং কেন !!!


ইমেইল মার্কেটিং এমন একটি মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি সম্ভাব্য কাস্টমারের ইমেইলে কোন পণ্য বা সেবার বিবরণসহ পণ্য সম্পর্কিত তথ্যাবলী প্রেরণ করা হয়। ফলে ঐ কাস্টমার প্রেরিত পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাগুলো ইমেইলের ইনবক্সেই পেয়ে যান এবং তিনি পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। অনেকের ধারণা ইমেইল মার্কেটিং শুধুমাত্র মানুষের কাছে স্প্যাম মেসেজ পৌঁছানো কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এটি হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের পূর্বতন এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদেরকে কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা যা অনলাইন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে খুবি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।

আসুন দেখি পরিসংখ্যান কি বলছে!

 
উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, শুধুমাত্র আমেরিকাতে ২০১১ সালে ১.৫১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয় ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য, যেটা বর্তমানে ২.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আরেকটি মজার তথ্য আছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যত বিক্রি হয় তার ২৪ শতাংশই ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে।


কি মাথা ঘুরছে তাই না!

 
অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রমোশনের ক্ষেত্রে অনেক মার্কেটারের কাছেই জনপ্রিয় পদ্ধতি এখন ইমেইল মার্কেটিং। শুধুমাত্র ইমেইল মার্কেটিং রপ্ত করে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক থেকে (যেমন: ক্লিকব্যাংক, কমিশন জাংশন, প্লাইমাস, ওয়ান টেওয়ার্ক ডিরেক্ট ) অ্যাফিলিয়েশনের প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে ইমেইল মার্কেটিং-এর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে প্রতি মাসে ৫০০ ডলার থেকে শুরু করে ২০ হাজার ডলার বা তারও বেশি আয় করছে অনেক মার্কেটার। বর্তমানে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ওডেস্কে যত কাজ রয়েছে তার ১৫ শতাংশই ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজ। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে নতুনরা ৪ থেকে ৫ ডলার কাজ পেতে পারেন। যত বেশি সৃজনশীল উপায়ে পণ্যকে উপস্থাপন করতে পারবেন আপনার বিক্রিও তত বেশি হবে। এটাই সাফল্যের রহস্য তবে আপনাকে জানতে এর ভিতর-বাহির।
সুতরাং অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে ইমেইল মার্কেটিং হতে পারে আপনার অন্যতম পছন্দের বিষয়।


কেন ইমেইল মার্কেটিং শিখবেন?
ইমেইল মার্কেটিংয়ের মত শক্তিশালী টুলসের ব্যবহার জানা অত্যন্ত সহজ এবং স্বল্পমেধা সাপেক্ষ। যে কেউ ঘরে বসেই ইমেইল মার্কেটিংয়ের সব কাজ করতে পারেন,  তাছাড়া নেই কোন অতিরিক্ত হার্ডওয়্যার কেনার ঝামেলাও।ইমেইল মার্কেটিং এর পরিধিও ব্যাপক, অ্যাফিলিয়েশন থেকে শুরু করে নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানে সার্ভিস প্রদান করে এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ভালো আয় করছে অনেক ইমেইল মার্কেটার। আশার কথা হল এই ক্ষেত্রটিতে সৃজনশীল তরুণ-তরুণীরা খুব দ্রুত ভালো কিছু করতে পারে। ইমেইল মার্কেটিংকে ক্রিয়েটিভ সেক্টরও বলা চলে।বর্তমানে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ওডেস্কে যত কাজ রয়েছে তার ১৫ শতাংশই ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজ। প্রজেক্ট ছাড়াও নির্ধারিত মূল্যে কাষ্টম ইমেইল টেমপ্লেট ডিজাইনিং ও বাল্ক মেইল পাঠানোর কাজ রয়েছে।

Thursday, September 18, 2014

"অনলাইনে আয় শীর্ষক কর্মশালা"




"Outsourcing বা অনলাইনে আয়" মোটামোটি পরিচিত শব্দ। এটি স্বাধীন এবং দক্ষতাপুর্ণ কাজ। বেকার সমস্যার এই যুগে অনেকটা আশার আলো বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে। না, যতটা সহজভাবে বলে ফেললাম_ ততটা সহজ নয়। 

বাংলাদেশ Outsourcing_ ভালো অবস্থানে; যার িছনে ফ্রিলান্সারদের দক্ষতা পরিশ্রমই প্রধান। 
অনলাইনে আয় করতে চাইলে আগে শিখতে হবে। 
যারা নতুন তাদের কাছে "অনলাইনে আয়" বিষয়টি একটু ধোঁয়াটে। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। তাই নতুনদের দরকার সঠিক নির্দেশনা; নইলে শুধু সময়ক্ষেপন ছাড়া আর কিছুই হবে না।

Chittagong IT centre _ "Outsourcing
বা অনলাইনে আয়" নিয়ে সারা চট্টগ্রামে কাজ করবে। লক্ষ্য নতুনদের একটা স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া। সেই সাথে আগ্রহীদের নিয়ে একটা কমিউনিটি গড়ে তোলা। 

ফ্রিল্যান্সারের আসলে কি জানা প্রয়োজন


মনে হতে পারে খুব সহজ প্রশ্ন এবং সরল উত্তর। ফ্রিল্যান্সার জানতে চান কি কি কাজ করা যায়, কোথায় কাজ পাওয়া যায়, কিভাবে যোগাযোগ করতে হয় ইত্যাদি।
বাস্তবে এই প্রশ্নগুলির উত্তর জেনে ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল করার উদাহরন পাওয়া কঠিন। অন্তত সরলভাবে বলা যায়, এই প্রশ্নগুলির জন্য কারো কাছে যাওয়া প্রয়োজন নেই। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোন শব্দ লিখে সার্চ করে তাদের কাছে যাওয়া যায়, সেখানে তাদের সমস্ত নিয়ম জানা যায়।
বরং এই বিষয়গুলি জানার পর বাস্তব কাজের সময় কিছূ প্রশ্ন এসে হাজির হয়। এগুলির উত্তর তত সহজে পাওয়া যায় না। অথচ এগুলি না জেনে কাজ করা সম্ভব হয় না।
এধরনের কিছু বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
.        কাজের জন্য কত নেয়া যায়
ফ্রিল্যান্সারের কাছে অত্যন্ত জটিল একটি প্রশ্ন। যে কাজ করতে চান সেই কাজের জন্য কত চাইবেন। বেশি চাইলে কাজ পাবেন না, একেবারে কম চাইলে প্রথমত আপনার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, আবার কাজ পেলেও যে আয় হবে সেটা পরিশ্রমের তুলনায় কম হতে পারে।
কোন কাজের জন্য কত পারিশ্রমিক চাইবেন সেটা আগেই বিশ্লেষন করে নিন। স্বাভাবিকভাবে শুরুতে কম টাকায় কাজের চেষ্টা করা ভাল। পরবর্তীতে অভিজ্ঞতার সাথে মিল রেখে এই পরিমান বাড়ানোর যেতে পারে।
.        প্রথম কাজ কিভাবে পাওয়া যাবে
বলা হয় প্রথম কাজ পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কিভাবে কাজের চেষ্টা করতে হয় থেকে শুরু করে কিভাবে যোগাযোগ করতে হয় ইত্যাদি কোনকিছুই যখন জানা নেই।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটের নিয়মগুলি ভালভাবে পড়ে, অন্যদের কাজ দেখে যত বেশি সম্ভব ধারনা পেতে চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে পরিচিত কোন ফ্রিল্যান্সারের সাহায্য নিন।
.        ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট না হলে কি করবেন
অনেকে শুরুতেই ভয় পান, তার কাজে ক্লায়েন্ট অসন্তুষ্ট হতে পারেন। জেনে রাখা ভাল, আপনি কতটা দক্ষ, অভিজ্ঞ, কাজে কত নিয়মানুবর্তি তাতে কিছু যায় আসে না, কোন কোন ক্লায়েন্ট অনস্তুষ্ট হবেনই। এটা স্বাভাবিক ধরে নিয়ে কাজ করাই ভাল। সাধারন নিয়ম, ক্লায়েন্টের সাথে কখনও তর্ক করবেন না। অপছন্দ হলে অন্য ক্লায়েন্ট খোজ করুন।
.        ফ্রিল্যান্সারের কি ওয়েবসাইট প্রয়োজন
এককথায় উত্তর, হ্যা। এর মাধ্যমে যোগাযোগের পথ তৈরী হয় এবং সহজে কাজ পাওয়া যায়।

.        ফ্রিল্যান্সিং কাজের খরচ কত
এক হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কাজে কোন খরচ নেই। যদি ব্যবহারযোগ্য কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি থাকে। অন্য কথায়, কাজের সাথে মানানসই যন্ত্রপাতি, ইন্টারনেট-বিদ্যুত সহ নিজের সময়, ব্যয় সবকিছুকেই খরচ  হিসেবে ধরতে পারেন। এই খরচের হিসেব একেকজনের কাছে একেকরকম। নির্দিষ্টভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কত খরচ হচ্ছে এধরনের হিসেব রাখা ভাল।
.        কাজ এবং সময়ের মিল কিভাবে রাখা যায়
কাজের সাথে সময়ের মিল রাখা ফ্রিল্যান্সারের একটি বড় সমস্যা। কোন একটি কাজে যদি অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয় তার প্রভাব অন্য কাজের ওপর পড়ে।

সাধারন নিয়ম, প্রতিটি কাজের সময়ের হিসেব রাখুন। কোন কাজে হিসেবের অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হলে শতর্ক হোন। প্রয়োজনে সেই ক্লায়েন্টের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নিন। এক কাজের কারনে অন্য কাজের ক্ষতি করবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং কি সহজ ?



ফ্রিল্যান্সারদের নিয়মিতভাবেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কি সহজ ? না কঠিন ? আমি কি পারব ?
সত্যি বলতে কি ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যেখাতে একে নিয়মিত কাজ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। প্রতিনিয়ত আরো বেশি মানুষ যোগ দিচ্ছে একাজে। যদি এই দৃষ্টিতে দেখেন তাহলে অন্য পেশার ক্ষেত্রেও কি প্রশ্ন করতে পারেন, শিক্ষকতা কি সহজ ? কিংবা ডাক্তারী করা কি সহজ ?


এধরনের প্রশ্ন করা হয় না। কারন ফ্রিল্যান্সিং বলতে অন্য নির্দিস্ট একটি পেশা বুঝায় না। একজন শিক্ষক কিংবা ডাক্তারও ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন।
অন্য পেশা যদি কঠিন হয় তাহলে ফ্রিল্যান্সিং অবশ্যই কঠিন। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছু ভুল ধারনার কারনে সাধারনভাবে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজ মনে করা হয়। বিষয়গুলি তুলে ধরা হচ্ছে এখানে;

.        ফ্রিল্যান্সিং শখ না
ফ্রিল্যান্সিং অন্যান্য পেশার মতই নির্দিস্ট কাজ। শুধুমাত্র শখ করে এখানে ভাল করার সম্ভাবনা নেই। কোন ফ্রিল্যান্সারকে কাজ করতে দেখলে মনে হতেই পারে তিনি মজার কিছু করছেন। কোন কাজ পছন্দ হলে সেদিকে যাচ্ছেন, পছন্দ না হলে ছেড়ে দিচ্ছেন। কখন কাজ করবেন সেটা নিয়ে কেউ খবরদারী করছে না।  বাস্তবে ফ্রিল্যান্সারকে তার সমস্ত কাজের হিসেব ঠিকভাবে রাখতে হয় এবং সব কাজই সময়মত শেষ করতে হয়।
.        একাধিক কর্তৃত্ব মেনে চলা
নিয়মিত চাকরীর সময় নির্দিস্ট বসের অধীনে কাজ করতে হয়। ধীর্ঘদিন কাজ করলে একসময় তার পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদির সাথে মানিয়ে নেয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং কাজে সবসময়ই নতুন নতুন ক্লায়েন্টের কাজ করতে হয়। তাদের প্রত্যেকেরই কাজের ধরন, মানষিকতা, পছন্দ-অপছন্দ ভিন্ন। সেকারনে অতিরিক্ত সচেতনতা প্রয়োজন হয়।
.        ভাল এবং মন্দ সময়
ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল সময়মন্দ সময় কথাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। একসময় এত বেশি কাজ পেলেন যে সেগুলি করা কষ্টকর, অন্যসময় আদৌ কোন কাজ পেলেন না। কিছু নিয়ম মেনে এই সমস্যা মোকাবেলা করা গেলেও পুরো সমাধান কারো জানা নেই।
.        কাজ নেইআয় নেই
ফ্রিল্যান্সারের আয় সরাসরি নির্দিষ্ট কাজের সাথে সম্পর্কিত। শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে অন্য যে কারনেই হোক, কাজ শেষ না হলে আয়ের সম্ভাবনা নেই। যে কারনে অনেক সময়ই ফ্রিল্যান্সার যখন কাজ থাকে তখন ভবিষ্যতের কথা ভেবে অতিরিক্ত কাজ করেন।
.        সবসময়ই কোন কাজ থাকে
নিয়মিত চাকরীর ছুটি নির্দিস্ট। দিনের কাজ শেষে ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি, বিশেষ দিনের ছুটি ইত্যাদি নিশ্চিন্তে উপভোগ করা যায়। ফ্রিল্যান্সারের কোন ছুটি নেই। হাতের কাজ শেষ হওয়ার পরও নিজের প্রচার বাড়ানো, কাজের চেষ্টা করা, দক্ষতা বাড়ানো ইত্যাদি কাজ করতে হয়।

এই বিষয়গুলির বাইরে আরো অনেক বিষয় রয়েছে বিষয়ভিত্তিক। কমবেশি সব ফ্রিল্যান্সারকেই সেগুলির মুখোমুখি হতে হয়।
কাজেই কেউ যদি প্রশ্ন করে, ফ্রিল্যান্সিং সহজ কি-না, হ্যা কিংবা না এভাবে উত্তর না দিয়ে তাকেই আরো জানতে পরামর্শ দিন।

অল্প পরিশ্রমে বেশি সাফল্য পেতে ফ্রিল্যান্সার কি করতে পারেন
সফল হওয়ার নানা পরামর্শ দিয়ে বিশ্বখ্যাতি লাভ করেছেন ডেল কার্নেগী। তার একটি উদাহরন একজন সেলসম্যান সম্পর্কে। তিনি প্রতিদিন নানা যায়গায় ঘোরেন ক্রেতা তৈরী করার আশায়। যা পরিশ্রম হয় সে অনুযায়ী ফল পান না। একদিন তিনি ভাবতে বসলেন। সম্ভাব্য ক্রেতাদের তালিকা তৈরী করলেন। যেখানে সম্ভাবনা বেশি তাদের শুরুতে রাখলেন। এরপর এদের কাছে বেশি সময় দিতে শুরু করলেন। অন্যদের সময় দেয়া বন্ধ করলেন।
ফল হিসেবে কিছুদিনেই দেখা গেল তার বিক্রি বেড়েছে, অন্যদিকে পরিশ্রম কমেছে। যেখানে সম্ভাবনা কম সেখানে তিনি সময় ব্যয় করছেন না।
ফ্রিল্যান্সার কি এই নিয়ম কাজে লাগাতে পারেন ?
উত্তর যে হ্যা হবে এতে কারোই সন্দেহ নেই। বরং সত্যিকারের প্রশ্ন, সেটা কিভাবে সম্ভব ?
কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় এনে ফ্রিল্যান্সার এই নিয়ম কাজে লাগাতে পারেন।
.        কাজ যাচাই করুন
জবসাইটে বহু কাজ রয়েছে। ইচ্ছে করলেই যতটা সম্ভব বেশি সময় ব্যয় করে বেশিসংখ্যক কাজে অংশ নিতে পারেন।
সেই বিক্রেতার উদাহরন বিবেচনায় আনুন। অংশ নেয়ার অর্থ সেই কাজ থেকে উপার্জন হওয়া না। বরং যেকাজে শেষ পর্যন্ত সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি শুধুমাত্র সেকাজে সময় দিন।
ফ্রিল্যান্সারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার উদাহরন বিবেচনা আনতে পারেন ডিজাইন জমা দিলে আপনি পয়েন্ট পাচ্ছেন, ডিজাইনের বা ষ্টার রেটিং এর জন্য পয়েন্ট পাচ্ছেন। অন্যদিকে ক্লায়েন্ট ডিজাইন বাতিল করলে পয়েন্ট বাদ যাচ্ছে। কখনো এমন হতে পারে আপনার পরিশ্রমের পুরস্কার হচ্ছে অন্য কাজের জমা আয় নষ্ট হওয়া। যদি পয়েন্ট বাড়ার সম্ভাবনা থাকে শুধুমাত্র তাহলেই অংশ নিন। নইলে সেটা বাদ দিয়ে অন্য কাজের দিকে দৃষ্টি দিন।
.        কাজের অর্থমুল্য বিবেচনায় রাখুন
বেশি টাকার কাজ করলে আয় বেশি। সেকারনে বেশি টাকার কাজে বেশি সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। বিষয়টিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখুন। কোন ক্লায়েন্ট বেশি টাকা দিচ্ছেন কারন তিনি উচু মানের কাজ চান। সেই কাজে সেরা ডিজাইনাররা অংশ নেবেন এটাই স্বাভাবিক। সেকারনে সেখানে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত বেশি।
আপনার জন্য কোনটা লাভজনক বিবেচনা করুন। একটি কাজ করে ৫০০ ডলার আয় হতে পারে, ৫০ ডলারের ১০টি কাজ করেও একই পরিমান আয় হতে পারে। যেটা মানানসই সেটা বেছে নিন।
.        ক্লায়েন্ট যাচাই করুন
সাধারনভাবে ক্লায়েন্ট যাচাই করার বিষয়টি ফ্রিল্যান্সার খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। অনেকে তাদের নাম দেখাও প্রয়োজন বোধ করেন না। অথচ বিষয়টি ক্রমেই গুরুত্বপুর্ন হয়ে দাড়াচ্ছে। অনেক ফ্রিল্যান্সার নিজেই ক্লায়েন্টে পরিনত হচ্ছেন। ৫০০ ডলারের কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকলে সেটা নিচ্ছেন, ফ্রিল্যান্সারকে ৫০ ডলার দিয়ে সেকাজ করিয়ে নিচ্ছেন।
কোন ক্লায়েন্ট অত্যন্ত সহানুভৃতিশীল। সবধরনের পরামর্শ দিয়ে ভাল কাজ করতে উতসাহ দেন। কেউ ঠিক বিপরীত। একজন বলেই বসলেন অংশ নেয়া ডিজাইনারদের থেকে তার বছরের মেয়ে ভাল ডিজাইন করতে পারে।
কোন ক্লায়েন্টের আচরনগত সমস্যা দেখলে সেকাজ থেকে দুরে থাকুন। প্রয়োজনে তাদের নামের তালিকা তৈরী করুন যেন ভবিষ্যতে সহজে তাদের চিনতে পারেন।
.        নিজেকে যাচাই করুন
অনেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজে অংশ নেন পুর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই। লোগো ডিজাইন করেছেন অথচ লোগোর সাধারন নিয়মগুলি মানেননি, এমনকি কোন সফটঅয়্যারে কাজ করবেন, কোন ফরম্যাটে কাজ দেবেন এবিষয়টিও জানা প্রয়োজনবোধ করেননি। এভাবে নিজেকে হাস্যকর করে তোলা হয়।
যে কাজই করুন, সেকাজের জন্য আপনার দক্ষতা কতখানি যাচাই করে নিন। অভিজ্ঞ কাউকে দেখিয়ে তাদের মতামত নিন। দক্ষতায় ঘাটতি থাকলে সেটা পুরন করুন। কাজ পাওয়ার জন্য যে পরিশ্রম হয় সেই পরিশ্রম দক্ষতা বাড়ানোতে ব্যয় করুন।

প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ যেমন পৃথক, ক্লায়েন্ট পৃথক তেমনি ফ্রিল্যান্সারও প্রত্যেকে নিজের মত। একজনের নিয়ম অন্যজনের কাজে লাগবে এমন কথা নেই। সেকারনেই প্রতিটি কাজ, প্রতিটি ক্লায়েন্ট এবং নিজেকে ভালভাবে জানা প্রয়োজন।

এরফলে আপনি কম পরিশ্রমে বেশি সাফল্য পেতে পারেন।